সমস্ত pdf file এখানে ক্লিক করুন

পশ্চিমবঙ্গের জেলা সমুহ PDF

 *Geo Academy ● জিও একাডেমী ● जिओ एकाडेमी* 
আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন .....
1) ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন আর সংগ্রহশালা থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন .....

2) সবসময় আপডেট পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন ....

3) Group এ যুক্ত থাকুন .....

4)Whatsapp Group এ যুক্ত হতে 9734492614 (সৌনক) এই নম্বরে নিজের নাম লিখুন ।

5) ভিডিও সংগ্রহশালা থেকে ভিডিও দেখুন .....



1) ঝাড়গ্রাম জেলা
2) নদিয়া জেলা
3) বসিরহাট জেলা
4) মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গের জেলা পরিচিতি



  • কলকাতা
    কলকাতা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী। এই শহরের অপর নাম কলিকাতা। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। এটি পূর্ব ভারতের প্রধান বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাকেন্দ্র। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম চালু বন্দর এবং দেশের একমাত্র প্রধান নদী বন্দর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কলকাতা শহরের পৌরএলাকার জনসংখ্যা ৪৫ লক্ষ এবং বৃহত্তর কলকাতার জনসংখ্যা ১ কোটি ৪১ লক্ষ। জনসংখ্যার নিরিখে এই মহানগর অঞ্চলের স্থান ভারতে তৃতীয়।

    নামকরণের ইতিহাস
    ‘কলকাতা’ নামটি এসেছে বাংলা ‘কলিকাতা’ নাম থেকে। ব্রিটিশরা আসার আগে অধুনা কলকাতা ভূখণ্ড যে তিনটি গ্রামে বিভক্ত ছিল, সেগুলির নাম ছিল সুতানুটি, কলিকাতা ও গোবিন্দপুর।

    ‘কলকাতা’ নামটির উৎস নিয়ে একাধিক মত প্রচলিত রয়েছে: মনে করা হয়, ‘কলিকাতা’ নামটি এসেছে ‘কালীক্ষেত্র’ নাম থেকে। অন্য মতে, বাংলা শব্দ ‘কিলকিলা’ (অর্থাৎ, ‘চ্যাপ্টা ভূখণ্ড’) কথাটি থেকে ‘কলিকাতা’ নামের উৎপত্তি। ‘কলিকাতা’ নামটি ‘খাল’ ও ‘কাটা’ (অর্থাৎ, ‘খনন করা’) শব্দদুটি থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকতে পারে। অন্য একটি মতে, এই অঞ্চলে কলিচুন ও কাতা (অর্থাৎ, ‘নারকেল ছোবড়ার আঁশ’) প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হত। তার থেকেই এই অঞ্চলের নাম হয় ‘কলিকাতা’। আগে ইংরেজিতে কলকাতার নাম ছিল ‘ক্যালকাটা’ (ইংরেজি: Calcutta)। ২০০১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা উচ্চারণ অনুসারে এই শহরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘কলকাতা’ (ইংরেজি: Kolkata)

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    কলকাতার রসগোল্লা ও সন্দেশ। চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ ইলিশ দিয়ে রান্না করা বিভিন্ন রকম পদও বাঙালিদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    কলকাতার দর্শনীয় স্থান হলো—টিপু সুলতানের মসজিদ, কালীঘাটের কালীমন্দির, পরেশনাথ মন্দির, বিদ্যাসাগর সেতু, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বিধান শিশু উদ্যান, দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির, বেলুড় মঠ, আদ্যাপীঠ, বন বিভাগ, নিক্কো পার্ক, বড় বাজার, আকাশ বাণী, বিবাদী বাগ, রাইটার্স বিল্ডিংস, রিজার্ভ ব্যাংক, নাখোদা মসজিদ, আর্মেনিয়ান চার্চ, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, শহীদ মিনার, ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, ভাসমান জাদুঘর, ফোর্ট উইলিয়াম, বিড়লা মন্দির, রাজভবন, রবীন্দ্র সরোবর, জুওলজিক্যাল গার্ডেন, জোড়া সাঁকোর ঠাকুরবাড়ি, হাইকোর্ট, ময়দান, রবীন্দ্র সেতু,পোস্টাল মিউজিয়াম, জাতীয় গ্রন্থাগার, নেতাজী মিউজিয়াম, এমপি বিড়লা প্ল্যানেটিরিয়াম, বালিগঞ্জ প্রমথেশ বড়ুয়া সরণি, ঠনঠনিয়া কালীমন্দির, কারবালা মসজিদ, মদন মোহন মন্দির প্রভৃতি আরও কত কী! প্রাচীনতম মসজিদটি ধর্মতলায় টিপু সুলতানের মসজিদ। নাখোদা মসজিদ। এটি কলকাতার বৃহত্তম মসজিদ। আগ্রার সিকান্দ্রাতে তৈরি আকবরের সমাধির আদলে ইন্দো-শৈলীতে লাল বেলে পাথরে রূপ পেয়েছে নাখোদা মসজিদটিতে। একত্রে ১০ হাজার মুসল্লি এখানে নামাজ পড়তে পারেন। পাশেই রয়েছে সিঁদুরিয়া পট্টিতে হাফিজ জালাল উদ্দিনের মসজিদ। আর সুন্দর কারুকার্যময় মানিকতলায় কারবালা মসজিদটিও কিন্তু কম আকর্ষণীয় নয়।
  • হাওড়া
    হাওড়া জেলা পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিভাগের একটি জেলা। জেলা সদর হাওড়া। জেলার রাজনৈতিক সীমানার উত্তরে হুগলি জেলা; দক্ষিণে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, কলকাতা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা; পশ্চিমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা; পূর্বে উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা অবস্থিত। হাওড়া জেলা দুটি মহকুমায় বিভক্ত। এগুলি হল: ১. হাওড়া সদর মহকুমা ও ২. উলুবেড়িয়া মহকুমা।

    নামকরণের ইতিহাস
    "হাওড়া" নামটির বুৎপত্তি নিয়ে মতান্তর রয়েছে। একটি মতে, বর্তমান হাওড়া শহরের অদূরে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে হাড়িড়া নামে একটি গ্রামের অস্তিত্ব ছিল; "হাওড়া" নামটি এই "হাড়িড়া" নামেরই অপভ্রংশ।[২] অন্যমতে, "হাওড়া" নামটির উৎপত্তি "হাবড়" শব্দটি থেকে; যার অর্থ "যেখানে পাঁক ও কাদা বেশি হয়"।[১] আবার কেউ কেউ মনে করেন, "হাওড়া" শব্দটির অর্থ "যে নিচু বা অবনত অঞ্চলে বর্ষার জল সঞ্চিত হয়"। হাওড়ার ভূমিরূপ এই জাতীয় ছিল বলে অঞ্চলটির এইরূপ নামকরণ হয়।[১] ভাষাতাত্ত্বিক সুকুমার সেনের মতে, "হাওড়া" শব্দটি একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ থেকে ব্যুৎপন্ন হয়েছে; এর অর্থ "যেখানে কেবল জল-কাদা"।[৩] হাওড়া জেলার নামকরণ করা হয়েছে জেলার জেলাসদরের নামে।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    জনাইয়ের মনোহরা অতি প্রসিদ্ধ। একে অনেক জায়গায় চাউনি সন্দেশও বলা হয়। মনোহরা হল ছানা ও চিনির অথবা সরচাঁছি ও ক্ষীরের মিশ্রণের গোল্লার উপর চিনির স্তর দেওয়া একটি গোলকাকৃতি মিষ্টি।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বটানিক্যাল গার্ডেন:
    আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বটানিক্যাল গার্ডেন বা "শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেন" (পূর্বনাম "ইন্ডিয়ান বটানিক্যাল গার্ডেন") হাওড়ার শিবপুরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক উদ্ভিদ উদ্যান। ২৭৩ একর আয়তনবিশিষ্ট এই উদ্যানে বর্তমানে মোট ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭,০০০টি গাছ রয়েছে।

    বেলুড় মঠ:
    বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান কার্যালয়। ১৮৯৭ সালে স্বামী বিবেকানন্দ হাওড়ার বেলুড়ে গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে এই মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরটির স্থাপত্যে হিন্দু, ইসলাম ও খ্রিস্টীয় ধর্মচেতনার সংমিশ্রণ লক্ষিত হয়। ৪০ একর জমির উপর অবস্থিত মূল মঠপ্রাঙ্গনে রামকৃষ্ণ পরমহংস, সারদা দেবী, স্বামী বিবেকানন্দের দেহাবশেষের উপর অবস্থিত মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশনের সদর কার্যালয় অবস্থিত।

    রবীন্দ্র সেতু:
    রবীন্দ্র সেতু (পূর্বনাম হাওড়া ব্রিজ) হুগলি নদীর উপর অবস্থিত কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সেতুগুলির মধ্যে অন্যতম। ১৮৭৪ সালে প্রথম হাওড়া সেতু নির্মিত হয়। পরে ১৯৪৫ সালে পুরনো সেতুটির বদলে বর্তমান ক্যান্টিলিভার সেতুটির উদ্বোধন হয়। ১৯৬৫ সালের ১৪ জুন সেতুটির নাম পরিবর্তন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে রবীন্দ্র সেতু রাখা হয়। রবীন্দ্র সেতু বঙ্গোপসাগরীয় প্রবল ঝড়ঝঞ্জাগুলি সহ্য করতে সক্ষম। এই সেতু দিয়ে দৈনিক ৮০,০০০ যানবাহনও প্রায় ১০ লক্ষ পথচারী চলাচল করে। এই জাতীয় সেতুগুলির মধ্যে রবীন্দ্র সেতু বিশ্বে ষষ্ঠ বৃহত্তম।

    বিবেকানন্দ সেতু:
    বিবেকানন্দ সেতু (পূর্বনাম "বালি ব্রিজ") হাওড়ার বালি ও উত্তর চব্বিশ পরগণার দক্ষিণেশ্বরের এটি ১৯৩২ সালে নির্মাণ করা হয়। এটি একটি বহু-স্প্যানবিশিষ্ট ইস্পাতনির্মিত সেতু। সেতুটিতে রেল ও সড়ক দুই ধরনের পরিবহন ব্যবস্থাই রয়েছে। রেলপথে সেতুটি শিয়ালদহ স্টেশনকে দিল্লির সাথে যুক্ত করেছে। সড়কপথে এটি হাওড়ার গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডকে কলকাতার ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোডের সাথে যুক্ত করেছে।

    গাদিয়াড়া:
    উলুবেড়িয়া মহকুমার গাদিয়াড়ায় হুগলি ও রূপনারায়ণ নদীর মিলনস্থলটি এখন জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার পুরনো রাইস মিলের বিলাসবহুল বাড়িটি এখন একটি পর্যটন আবাস। শীতকালে এখানে প্রচুর মানুষ পিকনিক করতে আসেন।

    গড়চুমুক:
    হুগলি ও দামোদর নদের সংগমস্থলে গড়চুমুক এই জেলার অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র। এখানে দামোদর নদের উপর এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ স্লুইশ গেট অবস্থিত। স্লুইশ গেটের দক্ষিণাংশে জেলা পরিষদের তরফ থেকে বনসৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিশু উদ্যান, ভ্রমণ স্থল, চড়ুইভাতির মাঠ, নদীর বুকে নৌকাবিহারের ব্যবস্থা।
  • মুর্শিদাবাদ
    মুর্শিদাবাদ জেলা পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যের একটি জেলা। জেলার মধ্য ভাগীরথী নদী বয়ে গিয়ে জেলাকে দু'ভাগে ভাগ করছে। নদীর পশ্চিমে রাঢ় ও পূর্বে বাঘিড়া অঞ্চল বলা হয়। পূর্বে অবস্থিত অঞ্চল খুবই উর্বর। ৫.৩১৪ বর্গ কিলোমিটার (২,০৬২ বর্গ মাইল) আয়তনের এলাকা এবং ৭১.০২ লক্ষ জনসংখ্যা থাকায় এটি একটি জনবহুল জেলা ও ভারতে নবম (ভারতের ৬৪১টি জেলা মধ্যে) জনবহুল জেলা। বহরমপুর শহরে জেলার সদর দপ্তর। মুর্শিদাবাদের জেলার মহকুমা ৫টি:- ১-বহরমপুর সদর মহকুমা, ২-জঙ্গীপুর মহকুমা, ৩-লালবাগ মহকুমা, ৪-কান্দী মহকুমা ও ৫-ডোমকল মহকুমা।

    নামকরণের ইতিহাস
    বাংলার নবাব মুর্শিদ কুলি খান তার নাম অনুসারে মুর্শিদাবাদ শহর এবং জেলা নাম দেওয়া হয়। যা, বাংলা (বর্তমানে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ) নবাবদের ক্ষমতার আসন ছিল। বাংলার সমস্ত বিষয় এই শহরে থেকে পরিচালিত হত। ব্রিটিশরা বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে পলাশীর যুদ্ধে হারিয়ে, বাংলার রাজধানী কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত করে।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    বেলডাঙার মনোহরা অতি প্রসিদ্ধ। একে অনেক জায়গায় চাউনি সন্দেশও বলা হয়। মনোহরা হল ছানা ও চিনির অথবা সরচাঁছি ও ক্ষীরের মিশ্রণের গোল্লার উপর চিনির স্তর দেওয়া একটি গোলকাকৃতি মিষ্টি।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    কাটরা মসজিদ
    শহরের পূর্বদিকে এক কিলোমিটার দূরে ১৭২৩ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদ নির্মাণ করেন মুর্শিদকুলি খাঁ। ১০ ফুট উঁচু ভিতবিশিষ্ট বেদির ওপর ১৭০ বর্গফুটবিশিষ্ট বর্গাকৃতি মুর্শিদাবাদের সর্ববৃহৎ এবং সুপ্রাচীন এই মসজিদ। ১৪টি সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হয় বেদিতে। সিঁড়ির নিচে একটি ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে মুর্শিদকুলি খাঁর সমাধি। মসজিদ প্রাঙ্গণ আয়তনে ১৬৬ বাই ১১০ ফুট। সম্পূর্ণ মসজিদটি ছয় বিঘা ১০ কাঠা জমির ওপর অবস্থিত।

    জাহানকোষা
    কাটরা মসজিদের পূর্বদিকে অদূরেই গোবরনালার ধারে জাহানকোষা কামানটি রয়েছে। এখানেই মুর্শিদকুলি খাঁর কামান রাখা হতো। জাহানকোষা কামানের ওজন ২১২ মণ। লম্বায় ১২ হাত। প্রস্থে ৩ হাত। ৩০ কিলো বারুদ লাগত এই কামান দাগতে। এই কামানের নির্মাতা ছিলেন বাংলাদেশের ঢাকার বিখ্যাত শিল্পী জনার্দন কর্মকার।

    মতিঝিল
    মতিঝিল মুর্শিদাবাদ শহরের অন্যতম আকর্ষণ। নওয়াজেশ খান ১৭৪৩ খ্রিস্টাব্দে প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। মতিঝিল প্রাসাদ ও সামাধিগুলো সাত বিঘা ১২ কাঠা জমির ওপর অবস্থিত। প্রাসাদটি ৫০ ফুট লম্বা, ৪০ ফুট চওড়া এবং উচ্চতায় ২৫ ফুট। এর তিনটি প্রকোষ্ঠ ও তিনটি প্রবেশপথ দিয়ে ঝিলের পানি স্পর্শ করা যেত।

    ফুটি মসজিদ
    মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি থেকে মাইলখানেক দূরে কুমারপুরে নবাব সরফরাজ খান মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা যথাক্রমে ১৩৫ ফুট ও ৪০ ফুট। আয়তনে এই মসজিদ মুর্শিদাবাদের অন্যতম বৃহৎ মসজিদ। মসজিদের চারকোণে চারটি মিনার রয়েছে।

    ফর্হাবাগ ও রোশনীবাগ
    ভাগীরথীর পশ্চিম তীরে ডাহাপাড়া গ্রামে রোশনীবাগ উদ্যান। এটি নবাব সুজাউদ্দিনের সমাধিস্থল। সমাধি ভবনটির দৈর্ঘ্য ১২ হাত, প্রস্থ ৩ হাত। এত বড় সমাধি মুর্শিদাবাদে আর নেই। রোশনীবাগে নবাবরা আলোক উৎসব করতেন। রোশনীবাগের কিছুটা উত্তরে ফর্হাবাগ বা সুখকানন। ফর্হাবাগ ও রোশনীবাগের স্থাপত্য নির্মাণ করেন সৌন্দর্যের পূজারি নবাব সুজাউদ্দিন।

    হিরাঝিল
    ফর্হাবাগ থেকে মাইলখানেক দূরে জাফরাগঞ্জে হিরাঝিল প্রাসাদ নির্মাণ করেন নবাব সিরাজউদদৌলা। প্রাসাদের পাশে তিনি একটি ঝিল তৈরি করেন। এই ঝিলের নাম হিরাঝিল। এখানেই তিনি লুতফন্নেসার সঙ্গে বাস করতেন।

    ইমামবাড়া মদিনা
    এই বিখ্যাত স্থাপত্যশিল্পের নির্মাতা নবাব সিরাজউদদৌলা। ইমামবাড়ার মাঝখানে মদিনা। কথিত আছে, ছয় ফুট গর্ত করে মদিনায় মক্কার মাটি এনে তা ভরাট করা হয়েছিল। এটি একটি গম্বুজাকৃতি মসজিদ। মসজিদের চারপাশে বারান্দা আছে।

    খোশবাগ
    ভাগীরথীর পশ্চিম তীরে একটি উদ্যান। নবাব আলিবর্দি তাঁর জননীর সামাধির জন্য এই উদ্যান নির্মাণ করেন। এখানেই আলিবর্দি খাঁ, সিরাজদদৌলা, লুতফন্নেসার সমাধি আছে।

    জাফরগঞ্জ
    ভাগীরথীর তীরে জাফরগঞ্জ প্রাসাদটি অবস্থিত। জাফরগঞ্জই সিরাজের বধ্যভূমি। এখানেই মীরজাফর, মীরন, মুন্নি বেগমদের সমাধি আছে।

    হাজারদুয়ারি
    ইতালীয় স্থাপত্যের আদলে নির্মিত হাজারদুয়ারি। এটি নির্মাণ করেন নবাব নাজিব হুমায়ুন। ১৮২৯ সালে এই হাজারদুয়ারির নির্মাণকাজ শুরু হয়। আর শেষ হয় ১৮৩৭ সালে। ৫১৮ একর জমির ওপর হাজারদুয়ারি নির্মিত। প্রাসাদটির উচ্চতা ৮০ বর্গফুট। এর পূর্বদিকে বেগমমহল, কিল্লার। মধ্যস্থলে হাজারদুয়ারি। প্রবেশদ্বারে ৩৬টি সিঁড়ি আছে। মধ্যে রয়েছে গোলাকৃতি একটি দরবার হল। নবাবদের সিংহাসন, নবাবদের অস্ত্র, ১৭ জন নবাবের তৈলচিত্র এখানে সংরক্ষিত আছে।
  • উত্তর চব্বিশ পরগণা
    উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা ভারত এর পূর্ব দিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা শহরের উত্তরপূর্ব দিকের একটি জেলা। জেলাটি কলকাতা থেকে প্রায় ৩০ কিমি দুরে অবস্থিত। এই জেলার প্রশাসনিক ভবন ও সদর দপ্তর বারাসাত শহরে অবস্থিত। এই জেলার শহরগুলি কলকাতা শহরের সাথে রাস্তা ও রেললাইন দ্বারা যুক্ত। উল্লেখনীও শহরগুলির নাম বারাসত, বারাকপুর, বসিরহাট ও বিধাননগর (সল্টলেক)। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ বা গঙ্গা-ব্রক্ষ্মপুত্র ব-দ্বীপ স্থিত এই জেলায় গঙ্গা নদী পশ্চিম সীমানা বরাবর বইছে। জেলার উল্লেখনীও নদীর গুলির নাম ইছামতি, যমুনা ও বিদ্যাধরী।

    নামকরণের ইতিহাস
    স্বাধীনতার আগে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা বলে কোনও জেলা ছিল না৷ ওই সময় আকবরপুর, আমীরপুর, আজিমাবাদ, বালিয়া, বারিদহাটি, বসনধারী, কলিকাতা, দক্ষিণ সাগর, গড়, হাতিয়াগড়, ইখতিয়ারপুর, খাড়িজুড়ি, খাসপুর, মেদনমল্ল, মাগুরা, মানপুর, ময়দা, মুড়াগাছা, পাইকান, পেচাকুলি, সাতল, শাহনদর, শাহপুর এবং উত্তর পরগনা নামের এই ২৪ টি মহলকে একসঙ্গে ২৪ পরগনা বলা হত। ১৯৮৩ সালে অশোক মিত্রের প্রশাসনিক সংস্কার কমিটি ২৪ পরগনা জেলা ভাগের সুপারিশ করে ৷ ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই এরপর ২৪ পরগনাকে উত্তর এবং দক্ষিণ এই দুই পরগনায় ভাগ করা হয় ৷ ভাগ হওয়ার পর এই দুই জেলাই প্রেসিডেন্সি বিভাগের অর্ন্তগত।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    রানাঘাটের ছানা থেকে তৈরি পান্তুয়া মিষ্টি।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    প্রসিদ্ধ শহর ও স্থান পারামদান বন্য প্রাণী প্রকল্প। দক্ষিণেশ্বর, চন্দ্রকেতুগড় এবং সল্ট লেক নিকো পার্ক, সাইন্স সিটি, অ্যাকোয়াটিকা, বিভিন্ন মার্কেট কমপ্লেক্স, টনহাটি, হালিশহর- রাম প্রাসাদের বাসস্থান। পানিহাট, খড়দহের গঙ্গার ধার অতি মনোরম স্থান।
  • দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা
    দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার আয়তন ৯ হাজার ৯৬০ বর্গ কিমি। দক্ষিণ ২৪টি পরগনা জেলার নদীগুলির মধ্যে হুগলি,বিদ্যাধরী,পিয়ালী, মাতলা, ইছামতি ও যমুনা প্রধান। হুগলি নদী জেলার পশ্চিম সীমানা ঘেঁষে প্রবাহিত। বাকি নদীগুলি গঙ্গা ও পদ্মার শাখা নদী। আলিপুর, বেহালা, ঠাকুরপুকুর, মেটিয়াবুরুজ, মহেশতলা, বারুইপুর,ডায়মন্ডহারবার প্রভৃতি এলাকা এই অঞ্চলে অবস্থিত।

    নামকরণের ইতিহাস
    স্বাধীনতার আগে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা বলে কোনও জেলা ছিল না৷ ওই সময় আকবরপুর, আমীরপুর, আজিমাবাদ, বালিয়া, বারিদহাটি, বসনধারী, কলিকাতা, দক্ষিণ সাগর, গড়, হাতিয়াগড়, ইখতিয়ারপুর, খাড়িজুড়ি, খাসপুর, মেদনমল্ল, মাগুরা, মানপুর, ময়দা, মুড়াগাছা, পাইকান, পেচাকুলি, সাতল, শাহনদর, শাহপুর এবং উত্তর পরগনা নামের এই ২৪ টি মহলকে একসঙ্গে ২৪ পরগনা বলা হত। ১৯৮৩ সালে অশোক মিত্রের প্রশাসনিক সংস্কার কমিটি ২৪ পরগনা জেলা ভাগের সুপারিশ করে ৷ ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই এরপর ২৪ পরগনাকে উত্তর এবং দক্ষিণ এই দুই পরগনায় ভাগ করা হয় ৷ ভাগ হওয়ার পর এই দুই জেলাই প্রেসিডেন্সি বিভাগের অর্ন্তগত।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    বালুসাই, পান্তুয়া, দরবেশ

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম আকর্ষণ সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর। এছাড়া দর্শনীয় স্থান হলো- গঙ্গা সাগর, ফলটা, নূরপুর, রাইচক, ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, মথুরাপুর, জামতলা, নামখানা, রামদেবপুর, কুলপি, মধ্য গুরগুরিয়া, বাসন্তি, আরামপুর, ক্যানিং, সোনারপুর, বাহারু, হরিণডাঙ্গা।
  • নদিয়া
    নদিয়া জেলা (পুরনো বানানে নদীয়া জেলা; পূর্বনাম নবদ্বীপ জেলা) পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার উত্তর-পশ্চিমে ও উত্তরে মুর্শিদাবাদ জেলা; পূর্ব সীমান্তে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ, দক্ষিণ-পূর্বে ও দক্ষিণে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা এবং পশ্চিমে হুগলি ও বর্ধমান জেলা অবস্থিত। এই জেলায় বহু বিখ্যাত ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ফুলিয়ার কৃত্তিবাস ওঝা যিনি কাব্য ছন্দে রামায়ণ লিখেছিলেন , চৈতন্যদেব যিনি গৌড়ীয় বৈষনব ধর্মের প্রবর্তক , কৃষ্ণদেব রায় যার রাজত্বকালে বাংলায় ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ইংরেজদের মিত্রতার জন্য তিনি মহারাজা উপাধি পান, দীনবন্ধু মিত্র, দিজে ন্দ্রলাল রায়, রামতনু লাহিড়ী , রাজশেখর বসু, গোপাল ভাঁড়, গীতগোবিন্দের রচয়িতা জয়দেব, সুচেতা কৃপালনি, বাঘাযতীন এছাড়াও আর অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি নদিয়াতে জন্ম গ্রহণ করেন।

    নামকরণের ইতিহাস
    নদিয়া নামের উৎস সম্বন্ধে নানা ধারণা প্রচলিত আছে। নদিয়া ও নবদ্বীপ এই দুটি নামই এই জনপদে প্রচলিত। এই স্থান বহু বার বৈদেশিক আক্রমণের শিকার হয়েছে, যার ফলে উচ্চারণের বিকৃতির মাধ্যামে নদিয়া ও নবদ্বীপ সম্পর্কযুক্ত হতে পারত, যদিও তা হয় নি। নদিয়ার নামকরণ প্রসঙ্গে কান্তিচন্দ্র রাঢ়ী একটি কিংবদন্তির উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন যে, ভাগীরথী তীরস্থ নবসৃস্ট চরভূমিতে এক তান্ত্রিক প্রতিদিন সন্ধ্যায় ন’টি দিয়া(প্রদীপ) জ্বালিয়ে তন্ত্র-সাধানা করতেন। দূর থেকে দেখে লোকে এই দ্বীপটিকে ন’দিয়ার চর বলত। আর সেই থেকেই নাকি লোকমুখে ‘নদিয়া’ নামের প্রচলন করে।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    নারিকেলের নাড়ু, দই, সন্দেশ।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    নদীয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র যা বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানের সমন্বয়ে গঠিত যেমন নবদ্বীপ, যা একটি বিখ্যাত তীর্থস্থান এবং শ্রী চৈতন্যের জন্ম স্থান। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ও দ্বাদশ শিব মন্দির এখানে সুবিখ্যাত। এছাড়াও এখানে মায়াপুর, শান্তিপুর, ফুলিয়া এবং জাতীয় মহাসড়ক নং – ৩৪ এর নিকটে বেথুয়াডহরি মৃগউদ্যান পরিদর্শন করতে পারেন

বর্ধমান বিভাগ
বর্ধমান বিভাগ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তিনটি প্রশাসনিক বিভাগের অন্যতম। দক্ষিণবঙ্গের বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও পুরুলিয়া এই ৭টি জেলা নিয়ে এই বিভাগ গঠিত।
  • বর্ধমান
    বর্ধমান জেলা ভারতের পূর্ব দিকের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলা। এটি মূলত কৃষি প্রধান জেলা। একে পশ্চিম বঙ্গের শস্য ভান্ডার বলা হয়। ধান এ জেলার প্রধান ফসল। এ ছাড়া গম ,পাট ,আলু , পেঁয়াজ ,আখ হয়। জেলার রানিগঞ্জ আর আসানসোল কয়লাখনির জন্য প্রসিদ্ধ। দূর্গাপুরে আছে লৌহ-ইস্পাত কারখানা। জেলা সদর বর্ধমান থেকে অল্প দূরে কাঞ্চন নগর ছুরি , কাচির জন্য প্রসিদ্ধ। ধাত্রিগ্রাম তাঁতের কাপড়ের জন্য প্রসিদ্ধ।

    নামকরণের ইতিহাস
    বর্ধমানের ইতিহাস শুরু খ্রীষ্টপূর্ব ৫০০ সন তথা মেসোলিথিক বা প্রস্তর যুগের অন্তিম সময়। Burdwan নামটি সংস্কৃত বর্ধমান থেকে ইংরেজ কর্তৃক প্রদত্ত। গলসি থানা সংলগ্ন "মল্লসরুল" গ্রামে প্রাপ্ত ষষ্ঠ শতকের একটি তাম্রলিপিতে প্রথম নামটির উল্লেখ পাওয়া যায়।নামের মূল নিয়ে দুটি মত রয়েছে।প্রথম মতানূযায়ী, নামটি ২৪ তম জৈন তীর্থাঙ্কর বা বর্ধমানস্বামী'র নামানুসারে।জৈন কল্পসূত্রাণুসারে,মহাবীর কিছুসময় অস্তিকগ্রামে কাটিয়েছিলেন, যা পরে বর্ধমান নামে পরিচিত হয়।অন্যমতানুযায়ী, বর্ধমানা অর্থ সম্পন্ন কেন্দ্র। গাঙ্গেয় উপত্যকায় আর্য সভ্যতার বিকাশের সময়ে, উন্নতি এবং সম্পনতার প্রতীক হিসাবে স্থানটি পরিচিত ছিল।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    সীতাভোগ, মিহিদানা ও দরবেশ।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    শের আফগানের সমাধি, খওয়াজা আনোয়ারের সমাধি, কালী মন্দির, শাহ আলম দরগা, আইডল অফ লর্ড শিবা, সিদ্ধেশ্বরী অম্বিকা মন্দির, বৈকুন্ঠনাথ শিব মন্দির, শ্যামারূপা মন্দির, তাচাই ঘোষের মন্দির, শিব মন্দির, রাধেশ্যাম মন্দির, বিষ্ণু মন্দির, রাণিসাগর, কার্জন গেট, মেঘনাদ সাহা প্ল্যানেটেরিয়াম, ডিয়্যার পার্ক, নাচন পক্ষী সংরক্ষণ, মাইথন ড্যাম, সর্বমঙ্গলা মন্দির, জিমা মসজিদ, বর্ধমানেশ্বর শিব মন্দির, সৈয়দ মহম্মদ বাহমানের সমাধি, গৌরাঙ্গ মন্দির, 109 শিব মন্দির, শ্রীখন্ড মন্দির, তারক্ষ্য মন্দির, পন্ডলমাঠ মন্দির, কল্যাণেশ্বরী মন্দির, আমরারগড় মন্দির ইত্যাদি।
  • হুগলী
    কলকাতার উত্তর দিক থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং বিখ্যাত নদী হুগলীর পশ্চিম তীরে হুগলী অবস্থিত। এই নামটি হুগলী নদী থেকে উদ্ভূত। এই স্থানটি পর্তুগিজ ও মুঘলদের বন্দর হিসেবে বিখ্যাত ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন ইউরোপীয় জাতি যথা ড্যানিশ, ব্রিটিশ, বেলজিয়াম, ফরাসি এবং জার্মানরা এই স্থান পরিদর্শন করেছেন। এই জেলায় বহু চমৎকার পর্যটন গন্তব্য রয়েছে এবং এটি সুপরিচিত ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থান। এই স্থানের একটি বিশেষ তাৎপর্য আছে কারন শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস তার জীবনের অনেকটা অংশ এখানে কাটিয়েছেন। হুগলীর ৪টি উপবিভাগ আছে, যথা- চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর এবং আরামবাগ।

    নামকরণের ইতিহাস
    ভাগীরথী নামটি পৌরাণিক। কিংবদন্তী অনুযায়ী, রাজা ভগীরথ মর্ত্যলোকে গঙ্গা নদীর পথপ্রদর্শক ছিলেন বলে গঙ্গার অপর নাম ভাগীরথী। হুগলী নামটি অপেক্ষাকৃত অর্বাচীন। ইংরেজ আমলেই সর্বপ্রথম ভাগীরথীর দক্ষিণভাগের প্রবাহকে হুগলী নামে অভিহিত হয়। আর এই নদীর নামেই করা হয়েছে হুগলী জেলা (হুগলি নামটির উৎস অজ্ঞাত)।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    হুগলী জেলার জনাইয়ের মনোহরা অতি প্রসিদ্ধ। একে অনেক জায়গায় চাউনি সন্দেশও বলা হয়।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    ব্যান্ডেল গির্জা, ফুর ফূরাহ শরিফ, ইমামবাড়া, শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির, ষাঁড়েশ্বরতলা মন্দির, হংসেশ্বরী মন্দির, বৃন্দাবন জিউ মন্দির, নৃত্যগোপাল স্মৃতি মন্দির, আঁটপুর মঠ, ওয়াচ টাওয়ার, সূয়াখাল এবং ময়ূর মহল, জাফরগঞ্জ কবরস্থান, জয় কৃষ্ণ লাইব্রেরী, সেন্ট ওলাফের গির্জা, চার্চ অফ সেক্রে কোয়ের ডি জেসু, বৌদ্ধ মন্দির, লাইট হাউস টম্ব, চন্দননগর মিউজিয়াম, চন্দননগর গির্জা, নন্দদুলাল মন্দির ইত্যাদি
  • পূর্ব মেদিনীপুর
    পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার উত্তরে পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলা; পূর্বে হুগলি নদী ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ওড়িশা রাজ্য। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি ও এগরা মহকুমা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা গঠিত হয়।

    নামকরণের ইতিহাস
    মেদিনীপুরের নাম নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। কথিত আছে, এখানে নাকি মেদিনী কর নামে এক রাজা ছিলেন। তিনিই মেদিনীপুর নগরের পত্তন করেন। কারও মতে, মাদানি বাবা নামে কোনও পীর ছিলেন। তাঁর নামেও মেদিনীপুরের নাম হতে পারে।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    বাবরশাহ (এক ধরণের মিষ্টি)

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের সমুদ্র সৈকত রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে অত্যন্ত পরিচিত নাম। কিন্তু এই সব জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলি ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন স্থানে অনেক প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি, মন্দির, মসজিদ ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
  • পশ্চিম মেদিনীপুর
    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলা। ২০০২ সালের ১লা জানুয়ারী বৃহত্তর অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে এই জেলা প্রতিস্থাপিত হয়। এই জেলাতে চারটি মহকুমা রয়েছেঃ খড়গপুর, মেদিনীপুর সদর, ঝাড়গ্রাম এবং ঘাটাল।

    নামকরণের ইতিহাস
    মেদিনীপুরের নাম নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। কথিত আছে, এখানে নাকি মেদিনী কর নামে এক রাজা ছিলেন। তিনিই মেদিনীপুর নগরের পত্তন করেন। কারও মতে, মাদানি বাবা নামে কোনও পীর ছিলেন। তাঁর নামেও মেদিনীপুরের নাম হতে পারে।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    বাবরশাহ (এক ধরণের মিষ্টি)

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    - ঝাড়গ্রাম
    - চিল্কিগড়
    - বেলপাহাড়ি
    - গোপগড় হেরিটেজ পার্ক (মেদিনীপুর শহরের নিকটবর্তী)
    - হাতিবাড়ি অরন্য ও পাখিরালয়
    - গুড়্গুড়িপাল হেরিটেজ পার্ক
    - গনগনি (গড়বেতা)
    - রামেশ্বর মন্দির ও তপোবন (রোহিনীর নিকটবর্তী)
    - প্রয়াগ ফিল্ম নগরী (চন্দ্রকোনা রোড)
  • পুরুলিয়া
    পুরুলিয়া জেলা ভারত প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে অবস্থিত একটি জেলা। জেলাসদর পুরুলিয়া। এই জেলার পূর্ব সীমান্তে বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা; এবং অপর তিন দিক ঝাড়খণ্ড রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত। ১৯৫৬ সালে পূর্বতন বিহার রাজ্যের মানভূম জেলার সদর মহকুমাটি পুরুলিয়া জেলা নামে পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই থেকে এই জেলা পশ্চিমবঙ্গের অঙ্গ। এই জেলার অধিবাসীরা মূলত বাঙালি ও সাঁওতাল। পুরুলিয়া পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে কম জনঘনত্ব বিশিষ্ট জেলা

    নামকরণের ইতিহাস
    পুরুলিয়া জেলার নামকরণের ইতিহাস কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    নিখুঁতির পায়েস

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    পুরুলিয়ার পর্যটন খুবই চমৎকার। এখানে দর্শকদের পছন্দের বহু আকর্ষণীয় গন্তব্য আছে, যেমন -দেউলঘেরা মন্দির, পোড়ামাটির ভাস্কর্য এবং জলপ্রপাত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সমৃদ্ধ পাহাড় এবং বাঁধ এখানকার একটি প্রধান আকর্ষণ।
  • বাঁকুড়া
    বাঁকুড়া জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত সাতটি জেলার অন্যতম একটি জেলা। এই জেলার উত্তরে ও পূর্বে বর্ধমান, দক্ষিণে পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ-পূর্ব হুগলি এবং পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা। দামোদর নদ বাঁকুড়া ও বর্ধমান জেলাদুটিকে পৃথক করেছে। এই জেলাকে "পূর্বের বঙ্গীয় সমভূমি ও পশ্চিমের ছোটোনাগপুর মালভূমির মধ্যকার সংযোগসূত্র" বলে বর্ণনা করা হয়। জেলার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও উর্বর পলিমাটিযুক্ত। পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে। এই অঞ্চলে স্থানে স্থানে ছোটোখাটো টিলা দেখতে পাওয়া যায়।

    নামকরণের ইতিহাস
    ‘বাঁকুড়া’ শব্দটির বুৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। কোল-মুণ্ডাদের ভাষায় ওড়া বা ড়া শব্দের অর্থ বসতি। বাঁকু শব্দের অর্থ পরম সুন্দর। ‘বাঁকুড়া’ নামটি 'বাঁকা' শব্দ থেকেও উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। জেলার সবচেয়ে প্রভাবশালী লৌকিক দেবতাদের একজন হলেন ধর্মঠাকুর। তাঁকে স্থানীয়রা 'বাঁকুড়া রায়' নামে ডাকেন। স্থানীয় কিংবদন্তি অনুসারে, জেলা সদর বাঁকুড়া শহরের নামকরণ হয়েছে এই শহরের প্রতিষ্ঠাতা তথা স্থানীয় গোষ্ঠীপতি নেতা বাঁকু রায়ের নামানুসারে। অন্য একটি কিংবদন্তি অনুসারে, বিষ্ণুপুরের রাজা বীর হাম্বিরের ২২ পুত্রের অন্যতম বীর বাঁকুড়ার নামে এই শহরের নামকরণ করা হয়েছে। বীর হাম্বির তাঁর রাজ্যকে ২২টি তরফে ভাগ করে দেন। প্রতিটি তরফ তাঁর এক এক পুত্রের অধীনে আসে। জয়বেলিয়া তরফটি বীর বাঁকুড়ার ভাগে পড়ে। তিনিই বাঁকুড়া শহরটি গড়ে তোলেন। অন্য একটি মতে, বাঁকুড়া নামটি বানকুন্ডা নামের অপভ্রংশ। 'বানকুন্ডা' শব্দের অর্থ পাঁচটি দিঘি। পুরনো সরকারি নথিপত্রে ইংরেজি Bacoonda নামটি পাওয়া যায়।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    ম্যাচা বা মেচা বাঁকুড়া জেলার এক জনপ্রিয় মিষ্টি।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    বাঁকুড়ার আকর্ষণ বিষ্ণুপুর। ১৪ শতকে উনবিংশ মল্লরাজ জগত্মল্ল এখানে এসে রাজধানী গড়েন। সেই মল্লরাজদের ঐতিহাসিক কীর্তিকলাপ, ললিতকলা, টেরাকোঠায় সমৃদ্ধ প্রাচীন বাংলার মন্দির স্থাপত্য পর্যটন মানচিত্রে বিষ্ণুপুরকে আজ অনন্য করে তুলেছে। এখানের পোড়ামাটির ভাস্কর্যের শৈল্পিক আকর্ষণ অনবদ্য। মন্দিরের খিলানগুলিও শিল্পকর্মে সমৃদ্ধ। উল্লেখযোগ্য মন্দির হলো জোড়বাংলা, রাধে শ্যাম মন্দির, শ্রীমন্দির, রাধা লাল জিউর মন্দির,একতেশ্বর [ দ্বারকেশ্বর নদের তীরে] প্রভৃতি।
  • বীরভূম
    বীরভূম জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি প্রশাসনিক জেলা। এটি পশ্চিমবঙ্গের তিনটি প্রশাসনিক বিভাগের অন্যতম বর্ধমান বিভাগের উত্তর প্রান্তের শেষ জেলা। এই জেলার সদর শহর সিউড়ি। বীরভূম জেলার পশ্চিম সীমান্তে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জামতাড়া, দুমকা ও পাকুর জেলা তিনটি অবস্থিত। অন্য তিন দিকে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ জেলা অবস্থিত।

    নামকরণের ইতিহাস
    ‘বীরভূম’ নামটি সম্ভবত ‘বীর’ ও ‘ভূমি’ শব্দদ্বয় থেকে এসেছে। অন্য একটি মতে, এই জেলার নামকরণ করা হয়েছে এখানকার পূর্বতন শাসক বীর রাজবংশের নামানুসারে। কিন্তু সাঁওতালি ভাষায় ‘বীর’ শব্দের অর্থ বন। সেই অর্থে ‘বীরভূম’ শব্দের অর্থ বনভূমি।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    মোরববা

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    শান্তিনিকেতন, ছাতিমতলা, দেহলি, চীনা ভবন, ব্ল্যাক হাউস, শান্তিনিকেতন গৃহ, উত্তরায়ণ, শ্যামলী, উদয়ন, তারাপীঠ, কঙ্কালিতলা, ফুল্লরা মন্দির, দলদলি লেক, নানূর, জয়দেব-কেন্দুলি, বামনী কালিবাড়ি, ভবতারিনী কালিবাড়ি, ডাঙ্গালপাড়া আনন্দপুর সার্বজনীন মাতৃমন্দির, রাধা বল্লভ মন্দির, শনি মন্দির, দামোদর মন্দির, রবীন্দ্রপল্লী কালিবড়ি, রক্ষাকালী মন্দির, কেন্দুয়া দক্ষিণপাড়া কালী মন্দির, শহীদ ভগৎ সিং পার্ক, নলতেশ্বরী মন্দির, মহামেডান সেন্ট হজরত দাতা মেহেবুব শাহ ওয়ালি, কালিদহ ট্যাঙ্ক, কালেশ্বর শিব মন্দির ইত্যাদি।

  • জলপাইগুড়ি
    জলপাইগুড়ি জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ভাগে অবস্থিত। জেলার পূর্বে হল আসাম,পশ্চিমে হল দার্জিলিং জেলা, উত্তরে হল ভুটান এবং দক্ষিণে কোচবিহার জেলা এবং বাংলাদেশ। জেলার আয়তন হল ৬,২৪৫ বর্গ কি মি এবং জনসংখ্যা হল ৩,৪০৩,২০৪ জন।

    নামকরণের ইতিহাস
    ইতিহাস অনুযায়ী এই জেলার নাম জল্পেশ্বর থেকে এসেছে যেটা শিব ঠাকুরের আরেক নামা,কিন্তু কেউ কেউ বলে এই স্থানে আগে নাকি জলপাই এর গাছ প্রচুর মাত্রায় ছিল,যাহার জন্য এই জায়গার নাম জলপাইগুড়ি। পূর্বে এই স্থানটি কোচ-রাজবংশীদের এক ভাগ ছিল যাহার নাম ছিল কামতাপুর। ১৮৬৯ সালে এই জেলাটির স্থাপন করা হয়।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    ছাঁচি দই।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    গরুমারা জাতীয় উদ্যান, লাটাগুড়ি, চাঁপরামারি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, চালসা, জলদাপাড়া, হলং, মাদারিহাট, বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ, জটিলেশ্বর মন্দির, ভামোরি দেবী মন্দির, ভবানী পাঠক মন্দির, দেবী চৌধূরানী মন্দির, জলপেশ মন্দির।
  • কোচবিহার
    কোচবিহার জেলা পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা। আয়তনের হিসেবে এটি রাজ্যের ত্রয়োদশ এবং জনসংখ্যার হিসেবে ষোড়শ বৃহত্তম জেলা। এই জেলার উত্তরে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা; দক্ষিণে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ; পূর্বে অসমের গোয়ালপাড়া জেলা এবং পশ্চিমে জলপাইগুড়ি জেলা ও বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ অবস্থিত।

    নামকরণের ইতিহাস
    "কোচবিহার" শব্দটির অর্থ "কোচ জাতির বাসস্থান"। কোচবিহার গেজেট অনুযায়ী, মহারাজার আদেশ অনুযায়ী রাজ্যের সর্বশেষ নামকরণ হয় "কোচবিহার"।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    খেজুর গুড়ের রসগোল্লা।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    কোচবিহার রাজবাড়ি ,মদন মোহন মন্দির ,সাগরদিঘি ,দেবী বাড়ী।
  • দার্জিলিং
    দার্জিলিং জেলা রাজ্যের উত্তর অংশে অবস্থিত। এই জেলা নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে তিনটি আন্তর্জাতিক সীমানা স্পর্শ করে আছে। এছাড়াও এর সীমানা উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলাকে স্পর্শ করে আছে। এই জেলার ভূখণ্ড উভয়ই পাহাড়ি এবং সমতল। গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার হার ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হয় এবং শীতকালে ৮ ডিগ্রী থেকে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয়।

    নামকরণের ইতিহাস
    দার্জিলিং শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ভাষার শব্দ "দুর্জয় লিঙ্গ" থেকে। এর অর্থ অদম্য ক্ষমতার অধিকারী শিব, যে হিমালয় শাসন করে"।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    চা

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ, ওয়ার মেমোরিয়্যাল, আভা আর্ট গ্যালারি, রক গার্ডেন, গঙ্গা মায়া পার্ক, পীস প্যাগোডা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, নাইটেঙ্গেল পার্ক/ স্রাব্বেরী পার্ক, দার্জিলিং-রঙ্গিত ভ্যালি প্যাসেঞ্জার কেবল কার, সেঞ্চাল লেক, মহাকাল মন্দির, ধীরধাম মন্দির, হ্যাপি ভ্যালি টি গার্ডেন, পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক, রাজ ভবন, দ্রুক থুপ্তেন সান্গাগ চোলিং মনাস্ট্রি, ঘুম মনাস্ট্রি, তাশি দারগ্যলিঙ্গ মনাস্ট্রি, দ্য মগ-ঢোগ ইয়লমোওয়া বুদ্ধিস্ট মনাস্ট্রি, ঈগল’স ক্রেগ, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস মিউজিয়াম, থোঙ্গসা গুম্পা, থার্পা চোলিং মনাস্ট্রি, মঙ্গল ধাম, জোং ডোং পালরি ফো- ব্রাং মনাস্ট্রি, পেডং মনাস্ট্রি, কওলে ডারা, দেওসি ডারা, রাই-ধাপ, সিংহ দেবী মন্দির ইত্যাদি।
  • উত্তর দিনাজপুর
    উত্তর দিনাজপুর জেলা ভারতের পূর্ব দিকের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলা। এই জেলার জন্ম হয় ১৯৯২ সালের ১লা এপ্রিল, পুর্ব্বতন দিনাজপুর জেলাকে দুই ভাগে ভাগ করে। এটি রায়গঞ্জ মহকুমা এবং ইসলামপুর মহকুমা নিয়ে গঠিত।

    নামকরণের ইতিহাস
    লোকশ্রুতি অনুযায়ী জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা, পায়েস ও রসগোল্লা।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    রায়গঞ্জ পক্ষী সংরক্ষণ, সাপ নিকলা অরণ্য, কূনোর ইত্যাদি।
  • দক্ষিণ দিনাজপুর
    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। ১৯৯২ সালের ১ এপ্রিল পশ্চিম দিনাজপুর জেলা দ্বিখণ্ডিত হয়ে ওই জেলার দক্ষিণাংশ নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্থাপিত হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র; পশ্চিম দিকে উত্তর দিনাজপুর জেলা ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মালদহ জেলা। বালুরঘাট এই জেলার জেলাসদর। বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর এই দুই মহকুমা নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা গঠিত।

    নামকরণের ইতিহাস
    লোকশ্রুতি অনুযায়ী জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা, পায়েস ও রসগোল্লা।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    সারঙ্গবাড়ি, কলেজ মিউজিয়াম, বোল্লা কালী মন্দির, তপন দীঘি, সেঞ্চুরী দ্বারপালের মূর্তি, কাল দীঘি, ঢল দীঘি ইত্যাদি।
  • মালদহ
    মালদহ জেলা বা মালদা জেলা পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার পশ্চিমে ও উত্তরে বিহার রাজ্য, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা; পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজশাহী বিভাগ, দক্ষিণে মুর্শিদাবাদ জেলা অবস্থিত।

    নামকরণের ইতিহাস
    মালদহ জেলার নামকরণ এই জেলার আদি বাসিন্দা ‘মলদ’ কৌমগোষ্ঠীর নাম থেকে। অন্যমতে ফার্সি ‘মাল’ (ধনসম্পদ) ও বাংলা ‘দহ’ শব্দদ্বয়ের সমন্বয়ে এই জেলার নামটির উৎপত্তি।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    মালদহ জেলা আমের জন্য বিখ্যাত।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    বড়দূয়ারি/বড় সোনা মসজিদ, দাখিল দরওয়াজা, ফিরোজ মিনার, চমকতি মসজিদ, চিকা মসজিদ, লুকোচুরি দ্বার, কদম রসূল মসজিদ, লাত্তান মসজিদ, কোটওয়ালী দরওয়াজা, গুমতি দরওয়াজা, আদিনা ডিয়্যার পার্ক, পান্ডব দালান মিনার, আটবার্ট দীঘি, আদিনা মসজিদ, কুতুবশাহী মসজিদ, একলাখি মৌসোলিয়াম ইত্যাদি।
  • আলিপুরদুয়ার
    আলিপুরদুয়ার জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ২০টি জেলার অন্যতম। ২০১৪ সালের ২৫ জুন এই জেলা গঠিত হয়। আলিপুরদুয়ার পুরসভা এবং মাদারিহাট–বীরপাড়া, আলিপুরদুয়ার–১, আলিপুরদুয়ার–২, ফালাকাটা, কালচিনি ও কুমারগ্রাম–এই ছয়টি ব্লক নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা গঠিত। এই জেলায় ৬৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৯টি সেন্সাস টাউন আছে। জেলার সদর আলিপুরদুয়ার। আলিপুরদুয়ার জেলার থানাগুলি হল আলিপুরদুয়ার, শামুকতলা, কুমারগ্রাম, ফালাকাটা, কালচিনি, জয়গাঁ, মাদারিহাট ও বীরপাড়া।

    নামকরণের ইতিহাস
    নামের উৎপত্তি পাওয়া যায় নি।

    বিখ্যাত খাবারঃ 
    লাড্ডু।

    বিখ্যাত স্থানঃ 
    বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ, চিলাপাতা অরণ্য, জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ছোটা সিঞ্চুলা ইত্যাদি।

**তথ্য আপডেটের কাজ চলছে ........

এই ব্লগে ব্যবহৃত বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন লেখক ও প্রকাশনীর প্রকাশিত বই থেকে সংগৃহীত । তাদের অসাধারণ প্রকাশনা সমুহকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই । ব্লগে তথ্য প্রকাশের সব ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া সম্ভব হয়নি । বিশেষত আর্থিক অনগ্রসর ছাত্র ছাত্রীদের বিনামূল্যে তথ্য সরবরাহের উদ্দেশ্যেই এই প্রয়াস । উদ্দেশ্যটিকে মাথায় রেখে আমার সমস্ত ভূলত্রুটি মার্জনা করবেন; এই প্রত্যাশা রইলো ।
                             সৌনক পাটোয়ারী 



                               ১৫ই মার্চ,মহাবারুনী তিথী,২০১৮

 *Geo Academy ● জিও একাডেমী ● जिओ एकाडेमी* 
আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন .....
1) ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন আর সংগ্রহশালা থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন .....

2) সবসময় আপডেট পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন ....

3) Group এ যুক্ত থাকুন .....

4)Whatsapp Group এ যুক্ত হতে 9734492614 (সৌনক) এই নম্বরে নিজের নাম লিখুন ।

5) ভিডিও সংগ্রহশালা থেকে ভিডিও দেখুন .....

No comments:

Post a Comment

Thank you so much